শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
বাবা ছেলেসহ একই পরিবারে ৫জনেরে চাকরী রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলে!

বাবা ছেলেসহ একই পরিবারে ৫জনেরে চাকরী রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলে!

বাবা ছেলেসহ একই পরিবারে ৫জনেরে চাকরী রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলে!
মোঃ জহুরুল ইসলাম ও তার ছেলে মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে একই পরিবার থেকে চাকরী পেয়েছেন বাবা ও ছেলেসহ ৫ জন। তারা হলেন- রেলওয়ে শ্রমিকলীগ’র ওপেনলাইন শাখার সভাপতি জহুরুল ইসলাম এবং চার ছেলের মধ্যে এইএন অফিসের ট্রলিম্যান পদে সুমন, রেলওয়ে হাসপাতালে চৌকিদার পদে মামুন, পোর্টার পদে রাব্বি ও খালাসী পদে সুজন। এছাড়া ভাতিজা গেটকিপার পদে সোহাগ ও ভাইরার ছেলে ওয়েম্যান পদে শহিদুলকে চাকুরী দিয়ে আলোচনায় আসেন শ্রমিকলীগ’র ওপেনলাইন শাখার সভাপতি জহুরুল ইসলাম।

গতকাল রোববার জাতীয় ও রাজশাহীর স্থানীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় জহুরুল ইসলাম ও তার ছেলে মামুনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আলোচনা ও গুঞ্জন শুরু হয়েছে রেলভবন, স্টেশনসহ শিরোইল কলোনীর রেল কোয়ার্টার এলাকায়। ওই রেল শ্রমিক নেতার প্রভাব দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়েন চাকুরী প্রত্যাশী বেকার যুবকরা। তার ফাদে যে পা দিয়েছেন পড়েছেন বিপদে। আগে চাকুরীর সন্ধানে সেন্ডল ক্ষয় করেছে, এখন টাকা ফেরত নিতে চোখের পানি ঝরাচ্ছেন অনেকে।

স্থানীয় ও রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সুত্রে জানা যায়, একজন ট্রলিম্যান, নেতার পদ দখল করার পর নিয়োগ বানিজ্য করে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন জহুরুল ইসলাম। দখল করে রেখেছেন কোয়ার্টারে অধিকাংশ ঘর এবং ভাড়া দিয়েছেন বহিরাগতদের।

এ যাবত ৩০ জনের অধিক চাকুরী দিয়েছেন তিনি। নেতা হওয়ার সুবাদে কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ আচারন তার এবং তার ছেলেদের অভিযোগ আগে থেকেই। শুধু তাই নই তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুল্লে মারধর শুরু করে চার ভাই একত্রিত হয়ে।

তাদের মারধরে শিকার ভুক্তভোগী সিইই অফিসের বড় বাবু আব্দুস সালাম লুপ্তি বলেন, তুচ্ছো ঘটনাকে কেন্দ্র করে জহুরুলের ছেলে মামুন রড হাতুর দিয়ে পিটিয়ে আমার পা ভেঙ্গে দেয়।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৬ সালে রেলওয়ে কোয়াটারের বাসিন্দা, রেলওয়ের অতিঃ এফএনসিও’র ড্রাইভার রবি ঘোষের নিকট তার ভাতিজা রাজিব কুমার ঘোষ, তার ভাই রনি ঘোষ ও রেলওয়ের সিএসটি’র বড় বাবু আকবরের ছেলে মিজানুর রহমানকে এমএলএসএস ও পোর্টার পদে তাদের তিন জনকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন জহুরলের ছেলে প্রতারক মামুন। প্রতারক মামুন বর্তমানে রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতালের চৌকিদার পদে কর্মরত আছেন।

ওপেন লাইন শাখার সভাপতি ট্রলিম্যান জহুরুল ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, জহুরুল ইসলাম পুর্বে বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন রেলওয়ে ইউনিয়নের সাথে জড়িত ছিলেন।

পরে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দল পরিবর্তন করেন। এবং লবিং এর মাধ্যমে রেলওয়ে ওপেন লাইন শাখা শ্রমিকলীগ’র সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। এর পর থেকে শুরু তার নিয়োগ বানিজ্য, সেই সাথে প্রভাব খাটিয়ে ৪ ছেলেকে রেলওয়েতে চাকুরী নিয়ে দেন তিনি।

চাকুরী পাওয়ার পর একজন নেতার ছেলে ও রেল কর্মচারী পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারনায় লিপ্ত হন সুমন, মামুন ও রাব্বি নামের তিন ভাই। শুধু তাই নয় তারা টিকিট কালোবাজারির সাথেও জড়িত বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের একাধিক কর্মচারীরা।

পাশাপাশি মামুন রেলওয়ে হাসপাতালে চৌকিদার পদে চাকুরী নিয়ে শুরু করেন মাদকের কারবার, রাত হলেই হাসপাতালে মাদকসেবীদের নিয়ে আড্ডা আর ইয়াবা সেবন করা তার নিত্যদিনের কাজ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্টাফ বলেন, এর প্রতিবাদ করলে তারা চার ভাই মিলে মারধর শুরু করে। এ ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে ভয় পায় তাদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জানতে জহুরুল ইসলামের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনিসহ চার ছেলের চাকুরী কথা শিকার করেন এবং অন্যান্যদের চাকুরী দেয়ার বিষয়টি সঠিক নই বলেও জানান তিনি।

অপর দিকে অভিযুক্ত মামুন চাকুরী নিয়ে দেয়ার নামে রবি ঘোষের নিকট টাকা নেওয়ার কথা শিকার করে বলেন, আমি ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলাম, এর মধ্যে ১ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, বাকি ৪ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেছি।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply